গল্প: সেই ছোট্ট পাথর ভাঙার কারিগর।

একটা গল্প বলি, যা হয়তো তোমার ভেতরের আগুনটা আবার জ্বালিয়ে দেবে।

গল্প: সেই ছোট্ট পাথর ভাঙার কারিগর।

গল্প: সেই ছোট্ট পাথর ভাঙার কারিগর

এক ছিল এক পাথর ভাঙার কারিগর। সে প্রতিদিন বড় বড় পাথর ভাঙত, কিন্তু তার কাজ ছিল খুবই কষ্টের। গরম রোদে বসে সে হাতুড়ি দিয়ে পাথর ভেঙে চলত, তবুও পাথর ভাঙা শেষ হতো না। প্রতিদিন কাজ শেষে সে ক্লান্ত হয়ে ভাবত,

“আমি যদি এত কষ্ট না করে শক্তিশালী কিছু হতে পারতাম! তাহলে আমার জীবনটা বদলে যেত।”

একদিন হঠাৎ সে আকাশের দিকে তাকিয়ে সূর্যের শক্তি দেখে মুগ্ধ হলো। সে মনে মনে বলল,
“ইশ! আমি যদি সূর্যের মতো শক্তিশালী হতাম!”

তার ইচ্ছায় এক অলৌকিক ঘটনা ঘটল, সে সূর্য হয়ে গেল! এখন সে গরম রোদ দিয়ে পুরো পৃথিবীকে আলোকিত করতে পারছিল। কিন্তু কিছুদিন পর সে দেখল, এক মেঘ এসে তার আলোর ওপর ছায়া ফেলছে। তখন সে বলল,
“মেঘ তো সূর্যের থেকেও শক্তিশালী! আমি মেঘ হতে চাই!”

সে মেঘ হয়ে গেল এবং আকাশে ঘুরে বেড়াতে লাগল। সে বৃষ্টি ঝরিয়ে পাহাড়-পর্বত ভিজিয়ে দিল। কিন্তু হঠাৎ একটা তীব্র বাতাস এসে তাকে ছিন্নভিন্ন করে দিল। তখন সে বলল,
“বাতাস তো মেঘের থেকেও শক্তিশালী! আমি বাতাস হতে চাই!”

সে বাতাস হয়ে গেল এবং ঝড়ের মতো বয়ে চলল। গাছপালা উল্টে দিল, নদীর ঢেউ উঁচু করে তুলল। কিন্তু পথের মধ্যে সে একটা শক্ত পাথরের সঙ্গে ধাক্কা খেল, যা নড়লও না। সে বুঝল,
“পাথর তো বাতাসের থেকেও শক্তিশালী! আমি পাথর হতে চাই!”

সে পাথর হয়ে গেল এবং গর্বিত হলো। কিন্তু হঠাৎ সে অনুভব করল, এক পাথর ভাঙার কারিগর এসে হাতুড়ি দিয়ে তাকে আঘাত করছে। প্রতিবার আঘাতের সঙ্গে সে ভেঙে যাচ্ছে। তখন সে উপলব্ধি করল,
“পাথর ভাঙার কারিগরই আসলে সবচেয়ে শক্তিশালী!”


উপলব্ধি:

জীবনে আমরা প্রায়ই মনে করি, অন্যের অবস্থান আমাদের চেয়ে ভালো। কিন্তু সত্যিকারের শক্তি তোমার নিজের ভেতরেই লুকিয়ে আছে। তুমি যদি নিজের কাজের প্রতি মনোযোগ দাও, নিজেকে বিশ্বাস করো, তাহলে কোনো বাধাই তোমাকে থামাতে পারবে না।

তোমার ভেতরে থাকা পাথর ভাঙার সেই কারিগরের শক্তিটাকে জাগাও, আর জীবন বদলে দাও! 💪🔥

Previous Post Next Post